জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলজ অর্থমন্ত্রী ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডনারকে বরখাস্ত করার পর দেশটির ক্ষমতাসীন জোট সরকার ভেঙে পড়েছে। বুধবার (৬ নভেম্বর) এই পদক্ষেপের মাধ্যমে জার্মানির সামাজিক গণতন্ত্রী এসপিডি, ব্যবসাবান্ধব এফডিপি, এবং পরিবেশবান্ধব গ্রিন পার্টির মধ্যে তৈরি হওয়া মতবিরোধের অবসান ঘটে।
অর্থনৈতিক সংস্কার নিয়ে এই তিন দলের মধ্যে কয়েক মাস ধরে বিরোধ চলছিল, যা শেষ পর্যন্ত সরকারের পতন ঘটিয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই রাজনৈতিক অস্থিরতা ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতিকে এক টেকসই মন্দার দিকে নিয়ে যেতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয়ের পর জার্মানির বাণিজ্য ও সুরক্ষা সম্পর্কেও এই সংকট নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
চ্যান্সেলর শলজ জানিয়েছেন যে, তিনি ১৫ জানুয়ারিতে পার্লামেন্টে আস্থা ভোট চাইবেন এবং ২০২৪ সালের মার্চের শেষ দিকে আগাম নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা করছেন।
জার্মানির এফডিপি দলের নেতা ও অর্থমন্ত্রী লিন্ডনার করপোরেট কর কমানো, জলবায়ু নীতি সহজীকরণ এবং সামাজিক ভাতা হ্রাসের প্রস্তাব করেছিলেন, যা এসপিডি এবং গ্রিন পার্টির মতাদর্শের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ছিল।
জরিপ অনুযায়ী, বর্তমান জোট সরকারের জনপ্রিয়তা হ্রাস পাচ্ছে, এবং এখন নির্বাচনে এফডিপির সংসদে আসন নিশ্চিত করতে অন্তত পাঁচ শতাংশ ভোট পাওয়া কঠিন হতে পারে।